Monday, April 10, 2017

ভালোবাসার নায়ক

এসেছে বসন্ত। আজ পয়লা ফাল্গুন, আগামীকাল ভালোবাসা দিবস। বসন্তে ভালোবাসার অনেক রং জাগে। মেঘের মতো ক্ষণে ক্ষণে প্রেমের রঙের বদল ঘটে, সৃষ্টি হয় ভালোবাসার নানা তরঙ্গ। তারকাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়কে কেমনভাবে ছুঁয়ে গেছে ভালোবাসা, সেই গল্পসহ ‘আনন্দ’-র এই সংখ্যা সেজেছে নানা রঙের ভালোবাসায়
 ‘আমার আর মাত্র তিনটি কাজ বাকি আছে।’
কথাটি শুনে আমাদের কি মেজাজ খারাপ করা উচিত?
যাঁর জন্য দুপুর থেকে অপেক্ষা, ঘোর সন্ধ্যায় পরিবাগে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকার সময় তাঁর প্রথম বাক্যটি যদি এমন হয়, তবে মেজাজ খারাপ হবে না!
কিন্তু আমাদের বিগড়ে যাওয়া মন খুশিতে ভরে উঠল তাহসান যখন গিটার বাজিয়ে গুনগুন করে উঠলেন।
না, তাহসানের কাছে আমরা গান শুনতে আসিনি, গান শোনাটা ছিল উপরি পাওনা।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারও কথাবন্ধু মিথিলা নামে একটি নাটকে অভিনয় করছেন তাহসান। ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প-২’ প্রতিযোগিতায় আসা অসংখ্য গল্প থেকে বাছাই করে তিনটি নাটক তৈরি করা হয়েছে। নাটক তিনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ। এর একটি কথাবন্ধু মিথিলা।
তখন ২০০৪ সাল। অফ বিট নামে আফসানা মিমি পরিচালিত ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত একটি নাটকে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছিলেন তিনি। দর্শক গ্রহণ করলেন তাহসানকে। গায়ক থেকে তিনি হয়ে উঠলেন অভিনয়শিল্পী। এই ধারায় ২০০৭-এ মধুরেণ সমাপয়েৎ নামে আরও একটি নাটকে অভিনয়। ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল সেটিও।
পাঠক, এই তথ্যগুলো মনে রাখুন। আর ভাবুন, ভালোবাসা দিবসের নাটকে বারবার তাহসানকে দেখা যায় কেন? ভেবেছিলাম, তাঁর সঙ্গে আলাপের প্রথমেই ছুড়ে দেব এই প্রশ্ন। বিধি বাম, তাঁর ফ্লাটে ঢোকার মুহূর্তেই ওই যে মিইয়ে গেল মন। এরপর তাঁর বসার ঘরে—আমরা সোফায় আর মেঝেতে ম্যাটের ওপর বসে ল্যাপটপে কী যেন লিখছেন তাহসান।
‘আজকাল কাগজে-কলমে আর লেখা হয় না।’ কথাটি বলেই তারপর গিটারে টুং টাং, ‘আমার শব্দ যত কথাবন্ধুর কাছে/ ভেসে ভেসে উড়ে যায়...।’ গানের এটুকু শুনিয়ে বললেন, ‘কথাবন্ধু মিথিলার জন্য গানটি লিখছি। এ নাটকের শুটিংয়ের অবসরে একদিন আমি এলোমেলো গিটার বাজাচ্ছিলাম। গিটারে একটি সুর উঠল। তো, পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বললেন, এই সুরের ভেতর কথা বসিয়ে দিন। কথা কোথায় পাই! বললাম আবোলতাবোল কিছু। সেটি ধারণও হলো। পরে আমার মনে হলো, ওই দৃশ্যের জন্য লিখে ফেলি একটা গান। এটা সেই গান, সুর আগেই হয়েছে। এখন মাত্র লিখছি।’
তাহসানের মুখে সদ্য রচিত গানটির সুরের গন্ধে ম-ম করছে ঘর। কাজের ব্যাপারে যে মানুষটি এত খুঁতখুঁতে, তাঁর ওপর কি মন খারাপ করে থাকা যায়!
 এ নাটকগুলোর মধ্যে দুই নির্মাতা আশফাক নিপুন ও শাফায়েত মনসুর রানা পাণ্ডুলিপি নির্বাচিত হওয়ার আগে আমায় বললেন, আমাকে তাঁরা নাটকে নেবেন। কিন্তু তাঁদের নাটকের গল্পের সঙ্গে আমি বেমানান। ভেবেছিলাম, যাক বাবা বাঁচা গেল, এ বছর আর ভালোবাসা দিবসের নাটকে ভালোবাসার অভিনয় করতে হবে না। কিন্তু এর পরই উজ্জ্বলের ফোন। ফলে...’
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাভিশনে প্রচারিতব্য কথাবন্ধু মিথিলা নাটকে তাহসানের সহশিল্পী অগ্নিলা ইকবাল। কথাবন্ধু ও এক যুবকের প্রেম নিয়ে নাটকের কাহিনি। তবে নাটকের পুরো কাহিনি তাহসান আমাদের বললেও আমরা এখনই সেটি ফাঁস করব না। শুধু বলব, এ নাটকের শেষ দৃশ্যে রয়েছে চমক। ফলে, অপেক্ষা করুন, দর্শক!
পাদটীকা: তাহসানের জীবনসঙ্গীর নাম মিথিলা। আর কাকতালীয়ভাবে তাহসান অভিনীত এ নাটকের নামকথাবন্ধু মিথিলা। তাই মিথিলার নাকি ‘গোস্সা’ হয়েছে খুব। তবে তাহসান বললেন, সেই রাগ ঝাঁঝালো নয়, মধুর।

অনেক মানুষের ভিড়ে আমি একা: মিথিলা

ঢাকার অদূরে আইইউবিএটি ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াতে হেমন্তের সন্ধ্যাগুলোতে চলে আলোর নাচন। গাঢ় নীল আকাশ আর মনোরম আলো দিয়ে যাকে ভিন্নভাবে চেনা যায়। তেমনি প্রকৃতির ভিন্ন এক আবহে এ ক্যাম্পাসে নিজেকে যে কেউই খুঁজে নিতে পারেন! আর সেখানেই চলছিল জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনীত একটি নাটকের শুটিং। সেদিন সন্ধ্যায় প্রিয়.কমের প্রিয় কথা বিভাগে কথা হলো মিথিলার।
মিথিলাকে বলা হলো- পাঁচটি বিষয় বেছে নেওয়ার জন্যে, যা তার জীবনকে সব সময়ই নতুন করে রাঙিয়ে তোলে। তিনি বললেন, ঝুম বৃষ্টি দেখা, রিকশায় করে ঘুরে বেড়ানো্, রাস্তার পাশে টং দোকানে চা খাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আর মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানো। কিন্তু মিথিলা কেন বেছে নিলেন এমন বিষয়গুলো? মিথিলা জানালেন, তিনি নিজের মতো করে ঢাকাকে আবিষ্কার করে নিয়েছেন! যেখানে ভাপা পিঠা, রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়াটাই যথেষ্ট। যেগুলোকে ছেড়ে যাওয়া তার জন্য অসম্ভব!
 মিথিলা নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব এডুকেশন হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।

মিথিলা: যখন আমি অফিস শেষে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় যাই, তখন তো অনেকগুলো মানুষের ভিড়ে আমি একা। আমার পরিচিত আশেপাশে কেউ নেই। সবাই যে যার গন্তব্যে ছুটে চলছে। ওই বিষয়টা খুবই মজার। ভাবি, এ শহরটা আমার কত আপন! অথচ এখন কাউকেই চিনছি না। তখন নিজেকেই একটু ভিন্নভাবে আবিষ্কার করি।
প্রিয়.কম: আর আপনাকে যদি বলা হয় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, তাহলে আপনি এ শহরের কোন জায়গাটাকে সবচেয়ে বেশি মিস করবেন?
মিথিলা: অবশ্যই আমার বাসা।
প্রিয়.কম: আচ্ছা, ঢাকার কোন জায়গাটা আপনার সবচেয়ে প্রিয়?
মিথিলা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখানে আমার জীবনের দুর্দান্ত একটা সময় কেটেছে।

প্রিয়.কম: কখনও যদি এমনটা হয়, শহরের বাইরে থেকে আপনার পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ ঢাকায় প্রথম এলো। তাকে কীভাবে আপ্যায়ন করবেন আপনি? 
মিথিলা: নিশ্চয়ই তাকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গাগুলো ঘুরিয়ে দেখাবো। প্রাচীন বিভিন্ন স্থাপনাগুলোর ইতিহাস আর ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাব।
প্রিয়.কম: শীতের ঢাকায় আপনার কাছে প্রধান আকর্ষণ কি?
মিথিলা: ভাপা পিঠা।
প্রিয়.কম: শহরের কোন বিষয়টা বদলে দিতে চাইবেন?
মিথিলা: অবশ্যই, ট্রাফিক জ্যাম।
প্রিয়.কম: এ শহরের তো একেক সময় একেক রূপ দেখা গেছে ৭০, ৮০, ৯০ কিংবা একবিংশ দশকে। তবে কোন দশকটা আপনার সবচেয়ে বেশি পছন্দ?
মিথিলা: আমি যে সময়টা বড় হয়েছি মানে ৯০ এর দশকে। যখন এতো ট্রাফিক জ্যাম ছিল না। হেঁটে হেঁটে স্কুল কিংবা কলেজে যেতাম। সে সময়গুলো আসলেই অনেক ভালো ছিল।
প্রিয়.কম: আপনার মতে, ঢাকার ইউনিক বিষয় কি?
মিথিলা: ঢাকার মানুষগুলো অনেকে বেশি কর্মশীল আর ইতিবাচক ধ্যান ধারণা পোষণ করে পথ চলেন। যা আসলেই পৃথিবীর অন্য শহরে খুব এমনটা দেখা যায় না। 

প্রিয়.কম: ঢাকা নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা?
মিথিলা: আমরা যারা এ দেশের নাগরিক, সবারই মনে হয় প্রাণের শহরটাকে নিয়ে কম-বেশি পরিকল্পনা আছে। তবে আমি বলব কীভাবে ঢাকার ট্রাফিক জ্যামটা কমানো যায়, সে বিষয়ে আমি প্রথমে পরিকল্পনা করতাম।
প্রিয়.কম: আপনার মন খারাপ হলে কিংবা সুযোগ পেলে আপনি এ শহরের কোথায় গিয়ে বসবেন?
মিথিলা: ভেবে দেখতে হবে (একটু ভেবে বললেন) কোন ক্যাফেতে। কারণ সেখানে নিজের মতো করে একা আড্ডা দেওয়া যায়। একা ওয়াইফাই জোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে নিজের মতো করে সময় কাটানো যায়। আমি মনে করি এটা নগরায়নের একটা অংশ। যা জীবনযাত্রার গতিপথ অনেকটাই বদলে দিয়েছে।
প্রিয়.কম: প্রিয়.কমকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মিথিলা: প্রিয়কেও ধন্যবাদ।
সম্পাদনা: গোরা

‘তুমি যে আমার’ সিনেমায় গাইলেন তাহসান ও কোনাল

আরটিভি প্রযোযনায় ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ এর পরিচালনায় ‘তুমি যে আমার’ সিনেমার জন্য গাইলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান ও কোনাল।
একসঙ্গে তাহসান ও কোনাল  ছবি: শামছুল হক রিপন ও সংগৃহীত

‘তুমিময়’ শিরোনামের এ গানটি লিখেছেন মাহমুদ মানজুর। গানটির সুর ও সঙ্গীত করেছেন আমেরিকা প্রবাসী নাভেদ পারভেজ। চট্রগ্রামের ছেলে নাভেদ পারভেজ প্রবাসে থেকেই মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় ‘রয়’ চলচ্চিত্রে কো-প্রোগ্রামার হিসেবে কাজও করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

তাহসান ও কোনালে গাওয়া গান সম্পর্কে রাজ বলেন, ‘আমার চলচ্চিত্রগুলোতে গানের একটা প্রাধান্য থাকে। বিগত চলচ্চিত্রের গানগুলোও শ্রোতাদের কাছে দারুন সমাদৃত হয়েছে। তাহসান ভাই অনেক সময় দিয়ে গানটি করেছেন। কোনালও গেয়েছেন দূদার্ন্ত। গানটির ফাইনাল মিক্স হবে  মুম্বাই এর বিখ্যাত তিতুমীর স্টুডিতে। আর এ গানে আমেরিকার কিছু যন্ত্রশিল্পী বাজিয়েছেন। আশা করি ‘তুমি যে আমার’ চলচ্চিত্রত্রের গানগুলোও শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’
সম্পাদনা: মিজানুর রহমান

Saturday, April 8, 2017

৫৯তম গ্র্যামি সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে তাহসান

(প্রিয়.কম) তাহসান খান-গায়ক, অভিনেতা, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। তিনি মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এই আয়োজনে যোগ দিতে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
এদিকে '৫৯তম গ্র্যামি সেলিব্রেশন অনুষ্ঠান ২০১৭'-এর এবারের আসর বসছে লসএঞ্জেলসের কনভেনশন সেন্টারে। যুক্তরাষ্ট্র সময় ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৩০মিনিটে শুরু হবে অনুষ্ঠান।
 তাহসান জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অডিও কোম্পানি কাইনাটিক মিউজিকের মাধ্যমে তার কাছে আমন্ত্রণপত্রটি এসেছে।

যদিও বিশ্বখ্যাত এই আয়োজনে বাংলাদেশের হয়ে এর আগে যোগ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী জোহান। এই দিক দিয়ে তাহসান দ্বিতীয়বারের মতো অনন্য এক সম্মান বয়ে আনলেন দেশের জন্য।

এছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকায় তাহসান অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি 'বরষা'র প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এ কারণে তাহসান এতে উপস্থিত থাকতে পারেন নি।

উল্লেখ্য, গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব রেকর্ডিং আর্টস এন্ড সাইন্সেস কর্তৃক প্রবর্তিত বার্ষিক পুরস্কার, যা সঙ্গীত শিল্পে অসাধারণ কৃতিত্ত্বের প্রদান করা হয়। এটি ১৯৫৮ সালে প্রবর্তিত হয়। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নিউ ইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত হত। এটি আমেরিকার সবচেয়ে সম্মানজনক সঙ্গীত পুরস্কার। 
সম্পাদনা: শামীমা সীমা

Thursday, April 6, 2017

তারকা জুটি তাহসান-মিথিলার মিষ্টি প্রেম কাহিনী (দেখুন ছবিতে)

এখন তারা বিবাহিত, দুজনের ঘর আলো করে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে তাহসান আর মিথিলাকে নিয়ে। এদেশের তারকা দম্পতিদের মাঝে অন্যতম আলোচিত জুটি তারা, তাদের মিষ্টি প্রেম কাহিনী সকলেরই আলোচনার বিন্দু। কীভাবে প্রেম হয়েছিলো তাদের? সম্পর্কটা বিয়ে পর্যন্তই বা গড়ালো কীভাবে? আসুন, দেখি এই তারকা ছুটির দারুণ স্মৃতিময় কিছু জীবন ছবি আর ফাঁকে ফাঁকে জেনে নেই তাদের প্রেমের সিনেম্যাটিক গল্পটা! ২০০৪ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন মিথিলা। একদিন মিথিলার বিদেশ ফেরত এক বন্ধু সকালে মিথিলার বাসায় এসে উপস্থিত হলেন বায়না ধরলেন তাহসানের বাসায় গিয়ে অটোগ্রাফ নেবেন তার ছোট ভাইয়ের জন্য। মিথিলাও শুনেছে তাহসানের গান। তবে মিথিলা তাহসানের এতো বড় ভক্ত না যে বাড়ি গিয়ে অটোগ্রাফ আনতে যাবে। যদিও শেষমেষ বন্ধুর বায়নার কারণে তাহসানের বাসায় উপস্থিত হতেই হল মিথিলাকে।
সেই দিন মিথিলার সাথে মাত্র বিশ মিনিট কথা হলো তাহসানের। আর পুরো সময়টাতেই মিথিলা সমালোচনা করলেন তাহসানের ব্ল্যাক ব্যান্ডের। নানান ভাবে বাক্যবাণ ছুঁড়ে দিলেন ব্ল্যাক ও তাহসানকে। কিন্তু এই বিশ মিনিটই বোধহয় ছিল তাহসানের জীবনের সবচাইতে মূল্যবান কিছু সময়। কারণ এইটুকুন সময়ের কথাতেই মিথিলা কেড়ে নিলেন তাহসানের শিল্পী মন! সেদিন সারারাত তাহসানের মনে শুধু মিথিলার কথা, হাসি, চেহারাই ঘুরছিলো যেন বারবার। এতো দিন এতো নারীর কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেলেন তাহসান। কিন্তু শেষ মেষ কিনা প্রেমে পড়লেন এমন এক মেয়ের যে কিনা তাকে ও তার ব্যান্ডের এমন সমালোচনা করলেন! কি আর করা! প্রেমের ব্যাপারে দেরি করা ঠিক না, তাই পরদিন সকালেই মিথিলার অপেক্ষায় একটি চিঠি হাতে কলা ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে গেলেন তাহসান।
দেখা হলো। তাহসান মিথিলাকে একসংগে কিছুটা পথ হাঁটার প্রস্তাবও দিলেন। দুজন কিছুক্ষণ হাঁটলেন পাশাপাশি, গল্পও করলেন। যাওয়ার আগে চিঠিটা তাহসান দিলেন মিথিলার হাতে। একটু হয়তো বিস্ময়, তবু বন্ধুদের কাছে গিয়ে চিঠির কথাটা বললেন মিথিলা, খুলেও পড়লেন। চিঠিতে লেখা ছিলো- 'Some call it love at first sight, some call it infatuation. I just ignore it'। চিঠিটা পড়ার আগ্রহ মিথিলার বন্ধুরাও সামলাতে পারলো না। পুরো বিষয়টা নিয়ে মিথিলার বন্ধুরাও খুব আগ্রহী হয়ে উঠলো। তাহসানের চিঠির কথা গুলো বারবার পড়লো মিথিলার মন, মনে যেন গেঁথে গেলো সেই চিঠির কথা গুলো। এরপর প্রায় প্রতিদিনই ফোনে কথা হতো ঘন্টার পর ঘন্টা। আর এভাবেই শুরু দুজনের প্রেমের। অতঃপর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েটাও করে ফেলেন তাঁরা। বিয়েটাও হয়েছে বেশ ঘটা করেই। মিডিয়ার তারকাদের উপস্থিতিতে মিথিলাকে নিজের জীবনসঙ্গিনী করে ঘরে তুলে নিয়েছিলেন তাহসান। আর এখন এই দম্পতির ঘরে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে একটি মেয়ে। বেশ সুখেই দিন কাটছে এই তারকা-দম্পতির। 

ভিনদেশি পিজির নির্দেশনায় ক্যামেরার সামনে তাহসান

বৃহস্পতিবার মার্চ ০৯, ২০১৭, ০২:৪৩ পিএম.

বিডিলাইভ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন তাহসান। সেখানেই পরিচয় হয় মিউজিক ভিডিও নির্মাতা পিজির সঙ্গে। ‘চলো না হারাই’ গানটির ভিডিওটি পিজি বানালে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। ভিনদেশি নির্মাতার নির্দেশনায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন তাহসান।

মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেসের মালিবু সৈকত এবং গতকাল বুধবার লাগুনা সৈকতে তাহসানের নতুন এই গানের ভিডিও ধারণ করা হয়। দূরদেশে নতুন মানুষের সঙ্গে কাজ করে দারুণ আনন্দিত এই শিল্পী।

নির্মাতা পিজির জন্ম কানাডায়, কাজ করেন হলিউডে। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তাহসান বলেন, ‘গত মাসে কাইনেটিকের আমন্ত্রণে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলাম। তখনই কাজটি করার পরিকল্পনা করে কাইনেটিক।’ তাহসান জানান, পিজি দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর জন্য গানের ভিডিও নির্মাণ করেন। ব্যয় আমাদের দেশের ভিডিওগুলোর থেকে খুব বেশি নয়। কাইনেটিকের সহযোগিতায় তার সঙ্গে কাজের সুযোগ তৈরি হলো।

তাহসান জানান, পয়লা বৈশাখে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত করা হবে। ‘চলো না হারাই’ গানটির কথা ও সুর করেছেন শাওন গানওয়ালা। সংগীত পরিচালনা করেছেন বিবেক।

ঢাকা, মার্চ ০৯(বিডিলাইভ২৪)// জে এস

ভিউয়ার বিবেচনায় ২০১৬ সালের সেরা ১০ নাটক

বিডিলাইভ রিপোর্ট: আর কিছুক্ষণ পরই বিদায় নিতে চলেছে ২০১৬ সাল। প্রতিবারের মতো এবারও শুরু হয়ে গেছে রূপালি জগৎকে কে কী দিলেন, তার হিসাব-নিকাশ।

বিজ্ঞাপন যন্ত্রণার কারণে মানুষ টেলিভিশনের চেয়ে ইউটিউবেই বেশি নাটক দেখেছে এ বছর। সেখান থেকে 'ভিউ' বিবেচনায় এ বছরের উল্লেখযোগ্য ১০টি নাটকের তালিকা নিচে দেয়া হল...

১. মেঘবালিকা
রচনা ও পরিচালনা: পারভেজ আমিন
অভিনয়ে: মোশাররফ করিম ও ভারতের পাখিখ্যাত অভিনেত্রী মধুমিতা
ভিউ: তিন মাসে ২২, ৩৪, ৩৪২

২. মিস্টার অ্যান্ড মিসেস
রচনা ও পরিচালনা: মিজানুর রহমান আরিয়ান
অভিনয়ে: তাহসান ও মিথিলা
ভিউ: তিন মাসে ১৯, ২১, ০৬৫

৩. কথোপকথন
রচনা ও পরিচালনা: মিজানুর রহমান আরিয়ান
অভিনয়ে: তাহসান, মিথিলা ও অপূর্ব
ভিউ: পাঁচ মাসে ১৪, ৭৯, ৬৯২

৪. মায়া কান্না
পরিচালনা: হাসান মোরশেদ
অভিনয়ে: মোশাররফ করিম
ভিউ: তিন মাসে ১৩, ১৩, ৮৫৬

৫. ভালোবাসার পংক্তিমালা
রচনা ও পরিচালনা: শিহাব শাহীন
অভিনয়ে: তাহসান, মিথিলা, ইরেশ যাকের, অপূর্ব ও মম
ভিউ: তিন মাসে ১২, ৯৮, ৫৩৭

৬. নীল রৌদ্রের ঘ্রাণ
রচনা ও পরিচালনা: জাকারিয়া সৌখিন
অভিনয়ে: আফরান নিশো, মেহজাবিন ও তৌসিফ মাহবুব
ভিউ: তিন মাসে ৬, ১৯, ৮৪৩

৭. লাল রঙা স্বপ্ন
রচনা ও পরিচালনা: মাবরুর রশীদ বান্নাহ
অভিনয়ে: মেহজাবীন ও জোভান
ভিউ: তিন মাসে ৬, ০৩, ৯৮৪

৮. হলুদ রঙের বায়না
রচনা ও পরিচালনা: ইমরাউল রাফাত
অভিনয়ে: জাহিদ হাসান ও পূর্ণিমা
ভিউ: তিন মাসে ৫, ৪৮, ৯৭৬

৯. ক্ষরণ
পরিচালনা: তন্ময় তানসেন
অভিনয়ে: তারিন, হৃদয় খান ও সাবিলা নূর
ভিউ:পাঁচ মাসে ৭, ২৭,৬৭৮

১০. পবিত্র প্রেম
রচনা ও পরিচালনা: জাকারিয়া সৌখিন
অভিনয়ে: তিশা ও ইমন
ভিউ: ছয় মাসে ৬, ৩৫, ৪৮৫

ঢাকা, ডিসেম্বর ৩১(বিডিলাইভ২৪)// এ এম

আমার মেয়েও একদিন 'গোল্ড মেডেল' পাবে: মিথিলা

বিডিলাইভ ডেস্ক: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর করে সিজিপিএ-৪ পেয়েছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এ কারণে ৫ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পেয়েছেন তিনি।

স্বর্ণপদক পাওয়ার অনুভূতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন মিথিলা-


প্রশ্ন: চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পেলেন, কেমন লাগছে?

মিথিলা: আমি যতটা খুশি হয়েছি, তার চেয়েও আমার মা-বাবা অনেক বেশি খুশি হয়েছেন। নিজেকে ভাগ্যবান মেয়ে মনে করছি। আসলে স্বর্ণপদক পাওয়ার পেছনে আমার মা-বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি। আমি যখন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হই, তখন আমার মেয়ে আইরার বয়স ছিল মাত্র এক বছর। আইরার দেখাশোনা আমার মা-বাবা করেছেন। স্বপ্ন দেখি, একদিন আমার মেয়েও চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পাবে।

প্রশ্ন: অভিনয়, চাকরি, পরিবার—সব মিলিয়ে পড়াশোনা করতে কোনো বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কী?

মিথিলা: সমস্যা তো সব কাজে কমবেশি হয়। আমারও ছিল, তবে আমার ইচ্ছাশক্তি প্রখর ছিল। এ জন্য হয়তো পড়াশোনা ভালোভাবে করতে পেরেছি। আমি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছি। সেখানে পড়তে তো কোনো টাকা লাগেনি। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম সেমিস্টার থেকেই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমার দুটি উদ্দেশ্য ছিল। এক, পড়াশোনায় ফাঁকি দেব না। দুই, রেজাল্ট ভালো হলে বৃত্তি পাব, তখন আর টাকা লাগবে না। যা হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৬ স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষে সব বিভাগের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ সিজিপিএ-৪ পেয়েছি। আমার দুই বছরের কষ্ট সার্থক হয়েছে।




প্রশ্ন: অভিনয়ে আবার কবে ফিরছেন?

মিথিলা: আমি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি আজ। এখানে ২২ তারিখ পর্যন্ত থাকব। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার ইচ্ছা রয়েছে। নাটকে কাজ করার প্রস্তাব তো সব সময় পাই। সম্ভবত এ বছর আর কাজ করা হবে না। বছরের শেষ কিছুদিন নিজেকে সময় দিতে চাই। আপাতত শুটিংকে বিদায়।

সূত্র: এনটিভি অনলাইন

এখনো অনেক পথ বাকি

বিডিলাইভ ডেস্ক: সময় বদলে যাচ্ছে। পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে যে নারীরাও এগিয়ে যেতে পারে তার প্রমাণ দেখা যায় সবখানেই। কিন্তু নারীরা পাচ্ছে না তাদের সেই কর্মের যথাযথ মর্যাদা। মর্যাদার জন্য লড়াই করতে হয় প্রতি মুহূর্তেই। নারীদের এই অবস্থান নিয়ে কথা হচ্ছিল মিথিলার সঙ্গে। একইসঙ্গে সংসার, সন্তান, অভিনয়, গান, চাকরি সবই সমান্তরালভাবে চালিয়ে যিনি প্রমাণ করেছেন একজন নারী ঠিক কতটা করতে পারে।

তাহসান আর তোমার সম্পর্ক কত বছরের?

মিথিলা: ১৫ বছর। আমাদের বিয়ের ১১ বছর পূর্তি হবে এ বছর।

তোমার এই ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় সম্পর্ককে তুমি কীভাবে সংজ্ঞায়িত করবে?

মিথিলা: একটা সম্পর্কে বন্ধুত্বটাই আসল।

এটা কখন নষ্ট হয়?

মিথিলা: একটা সম্পর্কের শুরুতে দু’জনের দু’জনের প্রতি প্রেম আর আকর্ষণ থাকে। দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কে সেই আকর্ষণটা আর থাকে না। তার সঙ্গে আমার দেখা করতেই হবে, কথা বলতেই হবে এমন অনুভূতিগুলো কমে যায়। এক ছাদের নিচে দিনের পর দিন থাকতে থাকতে দু’জন দু’জনের অস্থিমজ্জা সব কিছুই জেনে যায়। তখন আকর্ষণ কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এমন সময়ে নিজেদের সম্পর্ক সুন্দর রাখতে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো বন্ধুত্ব। সেই সময় ভালোবাসা আর থাকে না তা আমি বলব না, কিন্তু তা একটা অন্য লেভেলে চলে যায়। এই লেভেল পরিবর্তনের কারণে ভালোবাসাটা আপনি আর শুরুতে যেমন অনুভব করতেন, তেমন অনুভব করতে পারবেন না। তাকে দেখলেই শিহরণ জাগবে না। তবে একটা ভালো লাগা তো কাজ করেই, যার অনুভূতিটা হয়তো একটু ভিন্ন রকমের হয়।

সবাই তো এই বন্ধুত্বে পৌঁছতে পারে না। ফলে সম্পর্কে দূরত্ব এলেও বেশিরভাগ মানুষই আলাদা না হয়ে অভ্যাসবশত মুখ বুজে সেই সম্পর্কই টেনে নিয়ে যায়। কিংবা তাদের ভেতরে হয়তো আলাদা হওয়ার সাহস থাকে না সামাজিকতার কথা ভেবে। আমার মনে হয় তারা যদি সুযোগ পেত তাহলে হয়তো বেশিরভাগ মানুষই এমনভাবে থাকত না। তোমার মতে, দু’জন মানুষ কখন এমন বন্ধুত্বে পৌঁছতে পারে?

মিথিলা: আমার মনে হয় না যে সুযোগ পেলেই বেশিরভাগ মানুষ এমন সম্পর্ক থেকে নিজেদের সরিয়ে নিত। প্রতিটা মানুষেরই নির্ভরতার একটা জায়গা লাগে। দেখা যায়, অনেকে বাবা-মার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল, ফলে আর কিছুর দিকেই তাদের নজর থাকে না। অনেকে নির্ভরশীল তার সঙ্গীর ওপর। সঙ্গীর ওপর এমন নির্ভরশীলতা থাকলেই দু’জন মানুষ দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকে। এই নির্ভরশীলতা শারীরিক বা মানসিক যে কোনোটাই হতে পারে।

নারীর ক্ষমতায়ন এখন অনেকটাই হয়েছে এবং হচ্ছে। আমার ধারণা, আরো আগে থেকে এমনটা হলে হয়তো অনেকেই এভাবে থাকত না। নারী স্বাধীনতার ফলে অনেকের কাছে যে বিষয়গুলো ছোট তা আমার অনেকের কাছে বড় হয়ে দেখা দেয়।

মিথিলা: একটা খুব সাধারণ সামাজিক নিয়ম দেখেন যে, মেয়েদেরকে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনের ভেতরেই এমন চিন্তা থাকা জরুরি যে দু’জনই দু’জনের পরিবারকে ভালোবাসবে এবং সম্মান করবে। দু’জনের ভেতরেই এই চিন্তা না এলে তো আর হবে না। সবাই যদি চিন্তা করে যে মেয়েটা যেহেতু ছেলের বাড়িতে গিয়ে উঠবে সেজন্য সেটাকে নিজের বাড়ি বলে মনে করবে। ছেলের বাবা-মাকে মেয়েটা খুবই সম্মান করবে কিন্তু ছেলেটার বেলায় মেয়ের বাবা-মাকে সেই সম্মান না করলেও চলবে। এখান থেকেই বৈষম্যটার শুরু হচ্ছে।

আমি সেটাই বলছিলাম, আগে নারীরা এমন সবই মুখ বুজে সয়ে যেত। কিন্তু এখন তারা কথা বলছে তাদের এমন সব সমস্যা নিয়ে।

মিথিলা: এখন আসলেই কথা বলার সাহস করছে। নিজেদের প্রাপ্য বিষয়ে নারীরা এখন কথা বলছে। যে বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো না তা কেন কেউ মানতে চাইবে?

ভিন্ন বিষয়ে আসি। তুমি পড়াশোনা, সংসার, সন্তান, ক্যারিয়ার সব এক সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছ। এত কিছুর প্রতি তোমার আগ্রহ জন্মাল কীভাবে?

মিথিলা: আমার আগ্রহ অনেক বিষয়ে। আমার গানের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। গানটা আমি ঠিকমতো করতে পারিনি। যার কারণে আমার একক কোনো অ্যালবাম নেই। আমার যখন বিয়ে হয় তখন বয়স ২৩ বছর। বিয়ের পর অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করেছি। চাকরিও করেছি। এগুলোর সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়াতে কাজ করার জন্যও সময় বের করেছি। যার কারণে গানের পেছনে যথেষ্ট সময় দেয়া আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

অভিনয়ে কীভাবে এলে?

মিথিলা: অভিনয়ে আসা মূলত বিজ্ঞাপন থেকে। প্রথম ২০০৪ সালে অমিতাভের সঙ্গে একটা বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। অমিতাভ আমাদের পারিবারিক বন্ধু। সেই সুবাদেই ওর সঙ্গে কাজ করা হয়। এরপর নাটকে সম্পৃক্ত হওয়া।

পড়াশোনাতেও তোমার ফলাফল অনেক ভালো। এত কাজের সঙ্গে ভালো ফলাফল করা খুব কঠিন। তোমার ক্ষেত্রে সেটা কীভাবে হলো?

মিথিলা: আমার যত নেগেটিভ আবেগ আছে তার সবগুলোকে পজেটিভ করে নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। চাপের মধ্যে থেকে কাজ করা আমি উপভোগ করি। যার কারণে কোনো অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন আমার খুব ভালো লাগে। এমন চাপের কারণে আমি অন্য সবকিছু থেকে নিজের কনসেনট্রেশন সরিয়ে শুধু ওই কাজটাই মনোযোগ দিয়ে করি। ইউনিভার্সিটিতে আমার ফ্যাকাল্টিরা কোনোদিন আমি ডেড লাইস মিস করেছি তা বলতে পারবে না। চেষ্টা করি ডেডলাইনের আগে কাজ জমা দিতে, এমনকি এটা আমার অফিসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

এত কিছু একসঙ্গে ব্যালান্স কর কীভাবে?

মিথিলা: আমার অফিস সপ্তাহে পাঁচ দিন। বাকি দু’দিন ছুটি থাকায় অন্যান্য কাজ এই সময়ে করি। নাটক তো আর খুব বেশি করি না। বছরের বিশেষ দিবসের জন্য কাজ করি। ভ্যালেন্টাইনের জন্য নাটকে অভিনয় করলাম, সামনে ঈদের জন্য করব। আমি সবসময়েই আমার অফিসটাকে বেশি গুরুত্ব দেই। অফিসে সমস্যা করে আমি কোনো কাজ করি না। আর আমি যখন অফিসে যাই তখন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়েই বের হই। আমার কাজের সময়টুকু ও ডে-কেয়ারে থাকে। আমার যখন ইচ্ছে হচ্ছে গিয়ে দেখে আসছি বা ফোনে খবর নিচ্ছি। ফলে ওর জন্যও কোনো সমস্যা হয় না।

বাবার সঙ্গে ওর সম্পর্ক কেমন?

মিথিলা: ওদের দারুণ সম্পর্ক। বাবার গানের দারুণ ভক্ত সে। যেকোনো জায়গাতে ওর বাবার গানের সুর শুনলেও বুঝে ফেলে, একদম চুপ হয়ে শুনতে থাকে। তাহসানও তো সারাদিনই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যখনই বাসায় আসে তখনই আমার মেয়ের লাফালাফি শুরু হয়ে যায়।

কাজ নিয়ে তোমার সামনের পরিকল্পনা কী?

মিথিলা: আমি এখন যা করছি তাই নিয়মিত করে যেতে চাই। তবে পিএইচডি নিয়ে এখনো কিছু সিদ্ধান্ত নেইনি। মাস্টার্সে আমার পাঠ্য বিষয় ছিল ‘আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’। আমি বাচ্চাদের নিয়েই কাজ করে যেতে চাই। বিভিন্নভাবে তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই, যেমনটা এখনো করছি। এখন তো আমি বাচ্চাদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। তবে আমার রেডিও এবং টিভি প্রোগ্রামের জন্য পরিকল্পনা আছে। বাচ্চাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বিষয় প্রমোট করতে চাই। এর জন্য অভিভাবকদের কিছু সচেতন করার বিষয়ে কাজ করতে চাই। মিডিয়ার কাজের কথা যদি বলি নাটক এখন যেমন বেছে করছি সেভাবেই করে যাব।

এখন তো মিডিয়ার অবস্থাও একটু খারাপ।

মিথিলা: এটা আসলে ব্যক্তি ভেদে হতে পারে।

দর্শকরা বাংলাদেশের চ্যানেল বা প্রোগ্রাম দেখছে না। এজন্য বিভিন্ন মিটিং-মিছিলও হচ্ছে।

মিথিলা: এটা তো ভালো। দর্শক হারানোর বিষয়ে তারা কথা বলছে। তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছে। এর পেছনে আসলে আমাদেরও কিছু দোষ আছে। এতগুলো চ্যানেল খুলে রেখেছে যে, এত ভালো প্রোগ্রাম এখন আর পাচ্ছে না। এতগুলো চ্যানেল ভরানোর জন্য সবাই বাজেট কমিয়ে ফেলেছে। কম বাজেটের নাটক বানাচ্ছে সবাই। কম বাজেটের নাটক স্বাভাবিকভাবেই আর দর্শক তেমনভাবে টানতে পারছে না।

তুমি তো বরাবরই বেছে বেছে কাজ করতে এবং এখনো তাই করছ।

মিথিলা: আসলে এখন যে সমস্যার কথা আপনি বলছেন এটা মিডিয়াতে আমার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে না। আর আমি আসলে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন নিয়ে কাজ করি না। আমি অল্পতেই খুশি। আমি যে এনজিওতে কাজ করি সেখানকার বেতন করপোরেট দুনিয়ার তুলনায় অর্ধেক। আমি কাজ করি তাদের জন্য যাদের আসলেই প্রয়োজন। এটা আমাকে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি দেয়। মিডিয়ার ক্ষেত্রে সেই হিসাবটাই যদি করি, আমি বর্তমানে যে টাকা পাই তা লিডিং অভিনয় শিল্পীদের সমান। সুতরাং এটাকেই যদি পেশা হিসেবে নিয়ে প্রতিদিন অভিনয় করতাম তাহলে আমার নিজের গাড়ি বাড়ি হয়েও যেতে পারত। কিন্তু আমার ইচ্ছা বেছে কিছু ভালো কাজই শুধু করা। এটাও আমাকে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি দিচ্ছে। সেই প্রশান্তির জন্যই আমার কাজ করা। অল্প সময়ে যারা অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে তাদের কাছে এটা মনে হতেই পারে যে এই জায়গার অবস্থা খারাপ। আমি হঠাৎ করে কিছু চাইলে তার খারাপটাই শুধু আমাকে দেখতে হবে। আমার ফলাফল ভালো, এজন্যই আমি চিন্তা করতে পারি না যে আমাকে অনেক বেশি টাকা বেতন দিতে হবে। কয়েকটা নাটকে কাজ করে কিছু শিখেছি বলেই আমি হঠাৎ করে পরিচালক হয়ে যেতে পারব না। আমাদের সবার জীবনই অনেক ছোট। এই ছোট জীবনে যে কাজটাই করব সেটা খুব ভালোভাবে শিখে করা উচিত।আর টাকার পেছনে দৌড়ালে কেউ কখনো শান্তিতে থাকতে পারে না। যার কারণে আমি ধীরে ধীরে নিজের সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।

গান নিয়ে কী পরিকল্পনা করেছ?

মিথিলা: গত দুই ঈদেই নাটকের গান করেছি, লিখেছিও। ভ্যালেন্টাইন দিবসের একটা নাটকের জন্য গান লিখেছি। এভাবেই গান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গানকে কখনো খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করিনি। এজন্য এটা নিয়ে বেশিদূর এগোনো হয়নি। সামনে হয়তো করতে পারি, দেখা যাক কী হয়। সব কিছুর সঙ্গে সময় মিলিয়ে যদি এটার জন্য আলাদা সময় বের করতে পারি তাহলেই করব। কারণ কিছু করলে তা ভালোভাবেই করতে চাই। পরিকল্পনা বলতে এটুকুই।

পাঠকদের জন্য আর কিছু বলতে চাও?

মিথিলা: পাঠকদের জন্য তো অনেক কিছু বলার আছে। তবে এটা অবশ্যই বলতে চাইব যে, যেকোনো কাজ শুধু করার জন্য না করে যতটুকুই করবেন ভালোভাবে করুন। আমি আমার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছি কারণ আমি শুধু পড়ার জন্য পড়িনি। আমি শেখার জন্য পড়েছি। আমি আমার পড়ার বিষয়টাকে বেশ উপভোগ করেছি। গল্পের বই আমরা যেমন পড়ি, কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়া। তেমনিভাবে দুশ্চিন্তা না করে নিয়মিত পড়ার বিষয়টাও উপভোগ করা উচিত। এতে ফলাফল ভালো হবেই। আমি অনেক কিছু করি। এজন্যই সবাইকে আমি এই পরামর্শ দেব না যে, আপনিও অনেক কিছু করুন। আমার পরামর্শ থাকবে নিজেকে ভালোবাসতে শিখে নিজের প্রাধান্য বুঝে যতটা পারবেন ততটা করুন। তবে যা-ই করবেন তা ভালোবেসে করুন।

বাংলাদেশের মেয়েদের অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাজ করতে হয়। ব্যক্তিগত সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের এখনো অনেক অনেক দূর যেতে হবে নারী-পুরুষের সমতার জন্য, সেই সমতার জন্য যে সমতার কথা আমরা সব সময়ই বলি। এখনো আমরা যে সমাজে আছি সেখানে নারীদের কত ধরনের সমস্যা আছে, নারীরা কতটা পিছিয়ে আছে তা একেবারে সবারই চোখের সামনে। এটা দেখার জন্য কোনো রিসার্চ করার দরকার হয় না। পাশের ঘরে উঁকি দিলেই দেখা যায়। এটা পুরুষ এবং নারী উভয়ের কারণেই হচ্ছে।

এভাবেই অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে নারীরা এগোচ্ছে। তারা চাইলেই একবারে তাদের সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আমার মনে হয় তাদের ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে সামনে এগোনো দরকার। এতে আমরা সবাই মিলে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সত্য করতে পারব।

মেয়েদের এখনো যে প্রতিবন্ধকতা, তা কেন?

মিথিলা: এটা আসলে আমাদের মানসিক চিন্তার পরিবর্তন না হওয়ার ফল। আপনি দেখেন আমাদের দেশের নাটকে কয়টিতে নারী চরিত্রকে প্রাধান্য দেয়া হয়। পরিচালক বা লেখক প্রায় সবাই পুরুষ। তারা তাদের চিন্তায় যে গল্প আনে তা হয় মূলত পুরুষ কেন্দ্রিক। ফলে নাটকগুলোও সেভাবেই চলে। নাটকে আমাদের চরিত্র এমন যে নায়কের সঙ্গে শুধু নায়িকা হিসেবে থাকা।

দু’একজন নারী পরিচালক যারা আছে তারাও ঠিক নারী চরিত্রকে তেমনভাবে তুলে ধরতে পারছে না।

মিথিলা: মিডিয়ার মতো মানুষের বাসা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র সব জায়গাতেই পুরুষ প্রাধান্য হওয়াতে নারীরা শুধুই পিছিয়ে। যে অবস্থা এখনো আছে তাতে আমার মনে হয় আরো ১০০ বছর লাগবে এই অবস্থার থেকে নারীদের পরিত্রাণ দিতে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকারসহ দেশ পরিচালনার আরো অনেক জায়গাতেই কিন্তু নারীরা বেশ শক্ত অবস্থানে আছেন।

মিথিলা: এটা আসলে একটা ভালো উদ্যোগ এবং অবস্থান। কিন্তু এটা ঠিক সবার মানসিক পরিবর্তন আনছে না। আপনি দেখবেন যে একটা মেয়ে আরেকটা মেয়ের সমালোচনা বেশি করে। কখনো আপনি শুনবেন না যে জামাই এবং শ্বশুরের মধ্যে কোনো সমস্যার গল্প। কিন্তু বৌ এবং শাশুড়ির মধ্যে সমস্যার কথা শুনবেন প্রায় প্রতিটা ঘরেই। এখানেও পরিবর্তন আনতে হবে। এখন মেয়েরা বাসার বাইরে যাচ্ছে, চাকরি করছে, ব্যবসা করছে। ফলে নারীর আর্থিক স্বাধীনতা আসছে। নারীর যখন আর্থিক স্বাধীনতা আসছে তখন তার স্বামী বা শাশুড়ি তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে যা তাদের ভেতরে ক্রোধের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর সম্ভবত এই ক্রোধটাই এখন নারীর ওপর হওয়া নৃশংসতা বৃদ্ধির কারণ। এজন্য পুরো সমাজেই আলোচনা দরকার। নারীর সঙ্গে পুরুষের আলোচনা, ছোটদের সঙ্গে বড়দের আলোচনা। সবার সঙ্গেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা দরকার যাতে সবার ভেতরে মানসিক পরিবর্তন আসে।

সময় দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি তোমার এই দৃপ্ত কথাগুলো কিছু মানুষের ভেতরে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

মিথিলা: আমারও প্রত্যাশা নারী-পুরুষের সমতার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সুস্থ সমাজ হোক। যে সমাজে আমরা সবাই রাজা। সবাই মিলে ভালো থাকব।

সূত্র: ডেইলি স্টার

ঢাকা, মার্চ ২২(বিডিলাইভ২৪)// কে এইচ

যেভাবে শুরু তাহসান-মিথিলার প্রেমের গল্প

বিডিলাইভ রিপোর্ট: ভালোবাসা দিবস এলেই বাড়ির দরজায় ফুল রেখে এসে মিথিলাকে ফোন করতেন তাহসান। তখন তারা দুজনই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে গল্প এক দশক আগের। বর্তমান সময়ে অভিনয়-সঙ্গীতে জনপ্রিয় তারকা ও সুখী দম্পতি হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত তাহসান-মিথিলা জুটি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দ্য রিপোর্টের কাছে ভালোবাসার গল্প শুনিয়েছেন এ তারকা দম্পতি।
গল্পটি এক দশক আগের

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন মেধাবী ছাত্র তাহসান। সে সময় মিথিলার সঙ্গে পরিচয়। সেই গল্প মিথিলার কাছেই শোনা যাক, ‘আমার এক বন্ধু তার ছোট ভাইয়ের জন্য তাহসানের অটোগ্রাফ নিতে যাচ্ছে। মূলত তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যই তাহসানের বাড়িতে হাজির হওয়া।’ ওই সময় মিথিলাও তাহসানের কিছু গান শুনেছেন, কিন্তু ভক্ত হননি। তাই প্রথম পরিচয়েই তাহসানের ব্যান্ড ব্ল্যাককে নিয়ে অনেক সমালোচনা করেন মিথিলা। আর বুঝে ওঠার আগেই তাহসানের মনের ঘরে বাঁধা পড়লেন।

শুরুটা চিঠি বিনিময়ে

২০০৪ সাল, মোবাইল ফোন তখন অনেকটাই সহজলভ্য। ঠিক সেই সময় মিথিলার কাছে তাহসান লিখলেন একটি চিঠি। পরিচয়ের পরদিনই তাহসান চিঠি নিয়ে কলাভবনের প্রথম গেটের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। এক সময় মিথিলার সামনে পড়ে গেলেন। মিথিলা কথা বললেন প্রথম। তাহসান অনুরোধ করলেন, ‘চলো হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি।’ হাঁটতে হাঁটতে অনেক কথা হল। এক পর্যায়ে তাহসান সাহস করে মিথিলার হাতে গুঁজে দিলেন চিঠি। যাতে লেখা ছিল, ‘Some call it love at first sight, some call it infatution. I just ignore it.’ মনে মনে তাহসানকে পছন্দ করেছিলেন মিথিলাও। কিন্তু চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন ফোনে। যার প্রথম বাক্যটি ছিল এমন, ‘এই এটা কী লিখেছ?’

এরপর থেকেই দুজনের ঠোঁট থেকেই ঝরতে থাকল কথার ফুলঝুরি। নিয়ম করে রাতভর চলত ফোনালাপ। শুধুই কি ফোনালাপ! রিকশায় চড়ে চলল ঠিকানাহীন ঘোরাঘুরি। চিঠি লেখা প্রসঙ্গে তাহসান বললেন, ‘যেহেতু আমার কবিতার প্রতি প্রেম, ভাবলাম ফোন করার আগে এক চিঠিই লিখি।’

মিথিলার জন্য গান

চলছে ফোনালাপ, আড্ডাবাজি ও চুপিচুপি ঘোরাঘুরি। এরই মধ্যে মিথিলার জন্য তাহসান লিখে ফেললেন গান। তাহসানের সুরে গান গাইলেন মিথিলা। গানের রেকর্ডিং ও অনুশীলনের মধ্যদিয়ে টানা আটঘণ্টা সময় পার হয়ে যায়। এই গান গাওয়ার মধ্য দিয়েই তাদের ভালোবাসা আরও ঘনীভূত হয়। গান শুধু তাদের শখ বা প্রফেশন নয়, দুটি জীবনকেও বেঁধে দিয়েছে একই সুতোয়। তাহসান বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কটা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিণত হয়েছে। তার কারণ হতে পারে আমরা একই ইউনিভার্সিটি পড়তাম, প্রায়ই আমাদের দেখা হতো, সাক্ষাতেও কথা হতো।’

ভালোবাসার শেষ কোথায়

প্রেম করেই ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত কেটে গেল তাহসান-মিথিলার। সময়গুলো বেশ আনন্দে কেটেছে তাদের। সেই দুই বছর তাদের মধ্যে ঝগড়া কিংবা খুনসুটি কী হতো না! তাহসান বলেন, ‘প্রায় রাতের বেলা ওর সঙ্গে কথা বলতাম। আর সত্যি কথা বলতে, ফোনে কথা বলতে আমার ভাল লাগে না। মিথিলা বলে নয়, কারো সঙ্গেই ফোনে বেশিক্ষণ কথা বলতে ভাল লাগে না। রাত জেগে জেগে কথা বলার সময় আমি যখন ফোন রাখতে চাইতাম, ও বলত এত তাড়াতাড়ি ফোন রাখছ কেন? এসব নিয়ে সামান্য খুনসুটি হতো না, তা নয়। তবে তার স্থায়ীত্ব থাকত খুব অল্প সময়।’

বাজল বিয়ের সানাই

২০০৬ সালের ৩ আগস্ট এক সুতোয় বাঁধা পড়ল তাহসান-মিথিলার জীবন। তাহসান বলেন, ‘বিয়ের সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর আর মিথিলার ২৩ বছর। হঠাৎ করেই বিয়ে হয়ে গেল আমাদের। একবার মনে হচ্ছিল খুব তাড়াহুড়ো করেই কি বিয়ে করে ফেললাম! তখন অনেকেই বুঝিয়েছিল, বিয়ে করলেই সব শেষ। বিয়ের পর আর এত জনপ্রিয়তা থাকবে না। মেয়ে ভক্তরা সব দূরে সরে যাবে। বিয়ের পরে দেখলাম সেইরকম কিছুই হয়নি।’

সংসার গোছানো পালা

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন তারা। মিথিলা বললেন, ‘সংসার গোছানোর কি আর শেষ আছে! এখনও চলছে সংসার গোছানোর কাজ।’ তাদের একমাত্র মেয়ের বয়স বর্তমানে এক বছর চার মাস। তাকে নিয়ে বেশ কেটে যাচ্ছে দিন। তাহসান বলেন, ‘এখন আমি, মিথিলা আর আমাদের বাবু— তিনে মিলে খুব ভাল সময় কাটছে।’

মিল-অমিল

মিল-অমিল নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলেন তাহসান। তারপর বললেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় মিল হচ্ছে আমরা দুজনেই মেয়েকে খুব ভালোবাসি। আমি চাই মেয়েকে পিয়ানিস্ট বানাব।’ আর মিথিলা বললেন, ‘আমি চাই মেয়েকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াব।’ পর মুহূর্তে দুজন একসঙ্গে বলেন, ‘মেয়ে নিজে যা হতে চায় তাই হবে। তার ওপর আমরা কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না।’

মান-অভিমান, ঝগড়াঝাটি

‘মান-অভিমান ঝগড়া আমাদের জীবনেরই একটি অংশ। সব মিলিয়ে মিলে মিশে থাকাটাই হচ্ছে সুখী জীবন। আমাদের বাবা-মার সঙ্গেও অনেক মান-অভিমান হয়। কিন্তু সেসব আমরা কখনই মনে রাখি না। ঠিক তেমনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও ঝগড়া হয়। আবার আমরা সেসব ভুলেও যাই। এই তো জীবন। এমনই তো হওয়া উচিত।’— মান-অভিমান, ঝগড়াঝাটি নিয়ে এভাবেই বললেন তাহসান। মিথিলা বলেন, ‘তবে আমরা কেউ কারো ওপর বেশিক্ষণ মন খারাপ করে থাকতে পারি না। ওর বেশিক্ষণ অনুপস্থিতি আমার ভাল লাগে না। অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকলেও সব সময় ফোনে আমাদের কথা হয়। সব মিলিয়ে আমরা অনেক ভাল আছি। এই যে একসঙ্গে শুটিং করছি, গান গাইছি।’

বিয়ের আগে ও পরে

বলা হয়ে থাকে, বিয়ের আগে ভালোবাসার একরূপ আর বিয়ের পর অন্যরূপ। কেউ কেউ বলেন, বিয়ের পর ভালোবাসার রঙ ধূসর হয়ে যায়। কিন্তু তাহসানের ভাষ্য অন্যরকম। তিনি বলেন, ‘বিয়ের আগে প্রেম-ভালোবাসায় নানারকম সামাজিক বাধাবিপত্তিও থাকে। যেটা বিয়ের পরে থাকে না। যাই বলেন ভাই, বিয়ের পরে প্রেম করে শান্তি আছে। একসঙ্গে শুটিং, গান, ঘুরে বেড়ানো— কেউ বাঁকা চোখে তাকাতে পারবে না।’

আড্ডা শেষে সবার উদ্দেশে তাহসান-মিথিলা বলেন, ‘বাবা, মা, ভাই-বোন ও নিজের পরিবারকে ভালোবাসুন। আর আনন্দে থাকুন।’

ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৪(বিডিলাইভ২৪)// এম এস

Singles

  • Lighthouse
  • Kothay Acho - Telefilm: Amader Golpo (2012)
  • Megher Pore - Telefilm: Monforing er Golpo (2012)
  • Prothom Prem - Telefilm: Monsuba Junction (2012)
  • Keno Hothat Tumi Ele - Telefilm: Nipori Nilanjona (2013)
  • Asmani - Telefilm: Nilpori Nilanjona (2013)
  • Acho Hridoye - Online release (2014)
  • Kono Ek Kotha Bondhu - Drama: Kotha Bondhu Mithila (2014)
  • Tobu Keno - Drama: Addiction (2014)
  • Prem Tumi - Telefilm: Angry Birds (2015)
  • Ato Maya - Telefilm: Couple (2015)
  • Tumimoy- Drama: To Airport (2015)
  • Bhalobashar Mane- Drama: Tai Tomake (2016)
  • Jaccho Hariye- Drama: Prem Tumi (2016)

Discography

Studio albums

  • Kothopokothon (2004)
  • Krittodasher Nirban (25 December 2005)
  • Ichchhe (25 December 2006)
  • Nei (2007)
  • Prottaborton (February 2011)[1]
  • Uddessho Nei (23 July 2014)
  • "Mon Karigor" (January 2017)

Band albums

 Covered song

Others work

  • Tahsan ft. Minar (Danpite) (2008)
  • Tahsan ft. Sakib Jakir (Self titled) (2009)
  • Tahsan ft. Mithila-Ogochore (third person singular number) (2009)
  • Tahsan ft. Minar (Aari) (2011)
  • Tahsan ft. Mithila (coming soon)

 

 



 

Mithila is my most favorite co-star: Tahsan

The multi-faceted celebrity couple Tahsan and Mithila, who need no introduction, are going to be seen together on screen in a TV drama this Eid after a long-hiatus.
Directed by Ashfaq Nipun, this yet-to-be-titled drama will broadcast on a private television.
When asked about the drama, Tahsan said, “Mithila is my biggest critic. Anything I do, she’s the first person I get any response from. She’s my most favorite co-star here.”
“As I’m not a full-fledged acting personality, I always have this little doubt about my work and that is where Mithila helps me. She makes it easier and more comfortable for me,” added Tahsan.
The phenomenal music sensation is recently keeping busy a song and the music video of it which is going to get released this Eid al-Fitr

For Tahsan and Mithila, it was music that connected the two souls in one string. The story of Tahsan and Mithila is no less than a modern day fairytale. Tahsan was a serious DU IBA student and with no media link whatsoever while Mithila was a Political Science student from Dhaka University with a family background in the media. They met in 2004 through a mutual friend and their love blossomed in the university campus gradually. The dynamic duo has tied the knot on August 3 of 2006.

Tahsan returns to playback singing

Singer-turned-actor Tahsan has returned to playback singing, and this time for Ashikur Rahman’s film ‘Musafir’.
The small-screen heartthrob has lent his voice for ‘Musafir’ song, ‘Poth jana nei’, composed and directed by Nahid Parvez.
This is Tahsan’s second playback song. He made his debut in the format with ‘Chhunye dile mon’ which was a hit number.
Talking about the ‘Musafir’ song, Tahsan said, “Everyone has tagged me as a romantic singer but ‘Poth jana nei’ is not of the genre I sing usually. I have never lent my voice in such a song which belongs to the urban pop kind.”

“I think this type song is a new addition to Bangladeshi cinema,” the former ‘Black’ band member added.
“Most of our film songs are either item numbers or romantic. But, the ‘Musafir’ song is completely different from others. We should promote this kind of songs more. The music director is also very talented and he did an excellent job,” Tahsan said.
Tahsan, the multifaceted artiste, has been a popular voice in Bangla music scene for years. But, his acting career for TV plays is something which brought him in hearts of millions.





Style Icon Tahsan

Tahsan really needs no introduction. It'll be very hard to find anyone in the country who hasn't heard of him. His introduction into the music scene was met with massive positive response and his popularity continues to rise today.

Although his first identity is that of a musician and singer, he has also successfully ventured into the world of acting. As if all those things weren't impressive enough, he is also a Senior Lecturer at BRAC University! He is not only talented but also highly educated.

Couple that to the fact that he manages to look dashing whatever the occasion and attire and you are looking at the ultimate one man show. He is this week's Showbiz Style Icon

The role of screen real Tahsan and Mithila


Last Friday directed Mizanur Rahman Aryan 'conversation' acted in a play, and Mithila Tahsan Khan. Darsakamahale the play is quite appreciated. The sacrifice of a play together once again to celebrate the coming Tahsan and Mithila. They will now play the couple's introduction. The name of the play: "Mr. and Mrs.". Recently finished shooting the drama. The play was directed by Mizanur Rahman Aryan. The play can be seen in the role of the newly wed couple and mithilake Tahsan. Tahsan about the same as the real drama with his wife likes to do. It took a lot easier. More has been merged with the character acting. The drama galpatio nice. I believe the audience will like. The Mithila, Tahsan my husband's introduction has played in this play. Some of the scenes we've played real well. I hope that everyone will like the play. 'Mr and Mrs' play coming Eid-ul-Azha festival of the program will be aired on NTV.

The Mithila Tahsan and a few more plays at the festival are acting outside of the play. Are currently busy with the shooting of the star couple

Tuesday, April 4, 2017

Biography of Tahsan

Full name: Tahsan Rahman Khan
Birth date: 
October 18, 1979
Birth place: 
Bikrampur, Bangladesh
Height: 5 feet 8 1⁄2 Inches
Education: 
University of Minnesota
Occupation: 
Model, Singer, and Lecturer
Spouse (s): 
Rafiath Rashid Mithila
Religion: 
Islam
Zodiac sign: 
Leo