He learned singing at Shishu Academy and Chhayanaut. He attended AG Church School (Dhaka) and Notre Dame College, Dhaka. He obtained a BBA in marketing and an MBA in finance from the Institute of Business Administration, University of Dhaka. He completed a second MBA at the University of Minnesota on a Fulbright scholarship.[3]
Tahsan Rahman Khan
Saturday, April 3, 2021
Monday, November 20, 2017
Tahsan – Mithila back in action
Mithila was seen busy shooting a telefilm named Batch-27: The Last Page at Hazarat Shahjalal International Airport
facebook link for admin NAYEEM HOSSEN NELOY
Monday, April 10, 2017
ভালোবাসার নায়ক
এসেছে বসন্ত। আজ পয়লা ফাল্গুন, আগামীকাল ভালোবাসা দিবস। বসন্তে
ভালোবাসার অনেক রং জাগে। মেঘের মতো ক্ষণে ক্ষণে প্রেমের রঙের বদল ঘটে,
সৃষ্টি হয় ভালোবাসার নানা তরঙ্গ। তারকাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়কে
কেমনভাবে ছুঁয়ে গেছে ভালোবাসা, সেই গল্পসহ ‘আনন্দ’-র এই সংখ্যা সেজেছে নানা
রঙের ভালোবাসায়
‘আমার আর মাত্র তিনটি কাজ বাকি আছে।’
কথাটি শুনে আমাদের কি মেজাজ খারাপ করা উচিত?
যাঁর জন্য দুপুর থেকে অপেক্ষা, ঘোর সন্ধ্যায় পরিবাগে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকার সময় তাঁর প্রথম বাক্যটি যদি এমন হয়, তবে মেজাজ খারাপ হবে না!
কিন্তু আমাদের বিগড়ে যাওয়া মন খুশিতে ভরে উঠল তাহসান যখন গিটার বাজিয়ে গুনগুন করে উঠলেন।
না, তাহসানের কাছে আমরা গান শুনতে আসিনি, গান শোনাটা ছিল উপরি পাওনা।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারও কথাবন্ধু মিথিলা নামে একটি নাটকে অভিনয় করছেন তাহসান। ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প-২’ প্রতিযোগিতায় আসা অসংখ্য গল্প থেকে বাছাই করে তিনটি নাটক তৈরি করা হয়েছে। নাটক তিনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ। এর একটি কথাবন্ধু মিথিলা।
তখন ২০০৪ সাল। অফ বিট নামে আফসানা মিমি পরিচালিত ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত একটি নাটকে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছিলেন তিনি। দর্শক গ্রহণ করলেন তাহসানকে। গায়ক থেকে তিনি হয়ে উঠলেন অভিনয়শিল্পী। এই ধারায় ২০০৭-এ মধুরেণ সমাপয়েৎ নামে আরও একটি নাটকে অভিনয়। ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল সেটিও।
পাঠক, এই তথ্যগুলো মনে রাখুন। আর ভাবুন, ভালোবাসা দিবসের নাটকে বারবার তাহসানকে দেখা যায় কেন? ভেবেছিলাম, তাঁর সঙ্গে আলাপের প্রথমেই ছুড়ে দেব এই প্রশ্ন। বিধি বাম, তাঁর ফ্লাটে ঢোকার মুহূর্তেই ওই যে মিইয়ে গেল মন। এরপর তাঁর বসার ঘরে—আমরা সোফায় আর মেঝেতে ম্যাটের ওপর বসে ল্যাপটপে কী যেন লিখছেন তাহসান।
‘আজকাল কাগজে-কলমে আর লেখা হয় না।’ কথাটি বলেই তারপর গিটারে টুং টাং, ‘আমার শব্দ যত কথাবন্ধুর কাছে/ ভেসে ভেসে উড়ে যায়...।’ গানের এটুকু শুনিয়ে বললেন, ‘কথাবন্ধু মিথিলার জন্য গানটি লিখছি। এ নাটকের শুটিংয়ের অবসরে একদিন আমি এলোমেলো গিটার বাজাচ্ছিলাম। গিটারে একটি সুর উঠল। তো, পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বললেন, এই সুরের ভেতর কথা বসিয়ে দিন। কথা কোথায় পাই! বললাম আবোলতাবোল কিছু। সেটি ধারণও হলো। পরে আমার মনে হলো, ওই দৃশ্যের জন্য লিখে ফেলি একটা গান। এটা সেই গান, সুর আগেই হয়েছে। এখন মাত্র লিখছি।’
তাহসানের মুখে সদ্য রচিত গানটির সুরের গন্ধে ম-ম করছে ঘর। কাজের ব্যাপারে যে মানুষটি এত খুঁতখুঁতে, তাঁর ওপর কি মন খারাপ করে থাকা যায়!
এ নাটকগুলোর মধ্যে দুই নির্মাতা আশফাক নিপুন ও শাফায়েত মনসুর রানা পাণ্ডুলিপি নির্বাচিত হওয়ার আগে আমায় বললেন, আমাকে তাঁরা নাটকে নেবেন। কিন্তু তাঁদের নাটকের গল্পের সঙ্গে আমি বেমানান। ভেবেছিলাম, যাক বাবা বাঁচা গেল, এ বছর আর ভালোবাসা দিবসের নাটকে ভালোবাসার অভিনয় করতে হবে না। কিন্তু এর পরই উজ্জ্বলের ফোন। ফলে...’
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাভিশনে প্রচারিতব্য কথাবন্ধু মিথিলা নাটকে তাহসানের সহশিল্পী অগ্নিলা ইকবাল। কথাবন্ধু ও এক যুবকের প্রেম নিয়ে নাটকের কাহিনি। তবে নাটকের পুরো কাহিনি তাহসান আমাদের বললেও আমরা এখনই সেটি ফাঁস করব না। শুধু বলব, এ নাটকের শেষ দৃশ্যে রয়েছে চমক। ফলে, অপেক্ষা করুন, দর্শক!
পাদটীকা: তাহসানের জীবনসঙ্গীর নাম মিথিলা। আর কাকতালীয়ভাবে তাহসান অভিনীত এ নাটকের নামকথাবন্ধু মিথিলা। তাই মিথিলার নাকি ‘গোস্সা’ হয়েছে খুব। তবে তাহসান বললেন, সেই রাগ ঝাঁঝালো নয়, মধুর।
‘আমার আর মাত্র তিনটি কাজ বাকি আছে।’
কথাটি শুনে আমাদের কি মেজাজ খারাপ করা উচিত?
যাঁর জন্য দুপুর থেকে অপেক্ষা, ঘোর সন্ধ্যায় পরিবাগে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকার সময় তাঁর প্রথম বাক্যটি যদি এমন হয়, তবে মেজাজ খারাপ হবে না!
কিন্তু আমাদের বিগড়ে যাওয়া মন খুশিতে ভরে উঠল তাহসান যখন গিটার বাজিয়ে গুনগুন করে উঠলেন।
না, তাহসানের কাছে আমরা গান শুনতে আসিনি, গান শোনাটা ছিল উপরি পাওনা।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারও কথাবন্ধু মিথিলা নামে একটি নাটকে অভিনয় করছেন তাহসান। ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প-২’ প্রতিযোগিতায় আসা অসংখ্য গল্প থেকে বাছাই করে তিনটি নাটক তৈরি করা হয়েছে। নাটক তিনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ। এর একটি কথাবন্ধু মিথিলা।
তখন ২০০৪ সাল। অফ বিট নামে আফসানা মিমি পরিচালিত ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত একটি নাটকে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছিলেন তিনি। দর্শক গ্রহণ করলেন তাহসানকে। গায়ক থেকে তিনি হয়ে উঠলেন অভিনয়শিল্পী। এই ধারায় ২০০৭-এ মধুরেণ সমাপয়েৎ নামে আরও একটি নাটকে অভিনয়। ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল সেটিও।
পাঠক, এই তথ্যগুলো মনে রাখুন। আর ভাবুন, ভালোবাসা দিবসের নাটকে বারবার তাহসানকে দেখা যায় কেন? ভেবেছিলাম, তাঁর সঙ্গে আলাপের প্রথমেই ছুড়ে দেব এই প্রশ্ন। বিধি বাম, তাঁর ফ্লাটে ঢোকার মুহূর্তেই ওই যে মিইয়ে গেল মন। এরপর তাঁর বসার ঘরে—আমরা সোফায় আর মেঝেতে ম্যাটের ওপর বসে ল্যাপটপে কী যেন লিখছেন তাহসান।
‘আজকাল কাগজে-কলমে আর লেখা হয় না।’ কথাটি বলেই তারপর গিটারে টুং টাং, ‘আমার শব্দ যত কথাবন্ধুর কাছে/ ভেসে ভেসে উড়ে যায়...।’ গানের এটুকু শুনিয়ে বললেন, ‘কথাবন্ধু মিথিলার জন্য গানটি লিখছি। এ নাটকের শুটিংয়ের অবসরে একদিন আমি এলোমেলো গিটার বাজাচ্ছিলাম। গিটারে একটি সুর উঠল। তো, পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বললেন, এই সুরের ভেতর কথা বসিয়ে দিন। কথা কোথায় পাই! বললাম আবোলতাবোল কিছু। সেটি ধারণও হলো। পরে আমার মনে হলো, ওই দৃশ্যের জন্য লিখে ফেলি একটা গান। এটা সেই গান, সুর আগেই হয়েছে। এখন মাত্র লিখছি।’
তাহসানের মুখে সদ্য রচিত গানটির সুরের গন্ধে ম-ম করছে ঘর। কাজের ব্যাপারে যে মানুষটি এত খুঁতখুঁতে, তাঁর ওপর কি মন খারাপ করে থাকা যায়!
এ নাটকগুলোর মধ্যে দুই নির্মাতা আশফাক নিপুন ও শাফায়েত মনসুর রানা পাণ্ডুলিপি নির্বাচিত হওয়ার আগে আমায় বললেন, আমাকে তাঁরা নাটকে নেবেন। কিন্তু তাঁদের নাটকের গল্পের সঙ্গে আমি বেমানান। ভেবেছিলাম, যাক বাবা বাঁচা গেল, এ বছর আর ভালোবাসা দিবসের নাটকে ভালোবাসার অভিনয় করতে হবে না। কিন্তু এর পরই উজ্জ্বলের ফোন। ফলে...’
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাভিশনে প্রচারিতব্য কথাবন্ধু মিথিলা নাটকে তাহসানের সহশিল্পী অগ্নিলা ইকবাল। কথাবন্ধু ও এক যুবকের প্রেম নিয়ে নাটকের কাহিনি। তবে নাটকের পুরো কাহিনি তাহসান আমাদের বললেও আমরা এখনই সেটি ফাঁস করব না। শুধু বলব, এ নাটকের শেষ দৃশ্যে রয়েছে চমক। ফলে, অপেক্ষা করুন, দর্শক!
পাদটীকা: তাহসানের জীবনসঙ্গীর নাম মিথিলা। আর কাকতালীয়ভাবে তাহসান অভিনীত এ নাটকের নামকথাবন্ধু মিথিলা। তাই মিথিলার নাকি ‘গোস্সা’ হয়েছে খুব। তবে তাহসান বললেন, সেই রাগ ঝাঁঝালো নয়, মধুর।
অনেক মানুষের ভিড়ে আমি একা: মিথিলা
ঢাকার অদূরে আইইউবিএটি ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াতে
হেমন্তের সন্ধ্যাগুলোতে চলে আলোর নাচন। গাঢ় নীল আকাশ আর মনোরম আলো দিয়ে
যাকে ভিন্নভাবে চেনা যায়। তেমনি প্রকৃতির ভিন্ন এক আবহে এ ক্যাম্পাসে
নিজেকে যে কেউই খুঁজে নিতে পারেন! আর সেখানেই চলছিল জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনীত একটি নাটকের শুটিং। সেদিন সন্ধ্যায় প্রিয়.কমের
প্রিয় কথা বিভাগে কথা হলো মিথিলার।
মিথিলাকে বলা হলো- পাঁচটি বিষয় বেছে নেওয়ার জন্যে, যা তার জীবনকে সব সময়ই নতুন করে রাঙিয়ে তোলে। তিনি বললেন, ঝুম বৃষ্টি দেখা, রিকশায় করে ঘুরে বেড়ানো্, রাস্তার পাশে টং দোকানে চা খাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আর মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানো। কিন্তু মিথিলা কেন বেছে নিলেন এমন বিষয়গুলো? মিথিলা জানালেন, তিনি নিজের মতো করে ঢাকাকে আবিষ্কার করে নিয়েছেন! যেখানে ভাপা পিঠা, রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়াটাই যথেষ্ট। যেগুলোকে ছেড়ে যাওয়া তার জন্য অসম্ভব!
মিথিলা নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব এডুকেশন হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
মিথিলা: যখন আমি অফিস শেষে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় যাই, তখন তো অনেকগুলো মানুষের ভিড়ে আমি একা। আমার পরিচিত আশেপাশে কেউ নেই। সবাই যে যার গন্তব্যে ছুটে চলছে। ওই বিষয়টা খুবই মজার। ভাবি, এ শহরটা আমার কত আপন! অথচ এখন কাউকেই চিনছি না। তখন নিজেকেই একটু ভিন্নভাবে আবিষ্কার করি।
প্রিয়.কম: আর আপনাকে যদি বলা হয় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, তাহলে আপনি এ শহরের কোন জায়গাটাকে সবচেয়ে বেশি মিস করবেন?
মিথিলা: অবশ্যই আমার বাসা।
প্রিয়.কম: আচ্ছা, ঢাকার কোন জায়গাটা আপনার সবচেয়ে প্রিয়?
মিথিলা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখানে আমার জীবনের দুর্দান্ত একটা সময় কেটেছে।
প্রিয়.কম: কখনও যদি এমনটা হয়, শহরের বাইরে থেকে আপনার পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ ঢাকায় প্রথম এলো। তাকে কীভাবে আপ্যায়ন করবেন আপনি?
মিথিলা: নিশ্চয়ই তাকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গাগুলো ঘুরিয়ে দেখাবো। প্রাচীন বিভিন্ন স্থাপনাগুলোর ইতিহাস আর ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাব।
প্রিয়.কম: শীতের ঢাকায় আপনার কাছে প্রধান আকর্ষণ কি?
মিথিলা: ভাপা পিঠা।
প্রিয়.কম: শহরের কোন বিষয়টা বদলে দিতে চাইবেন?
মিথিলা: অবশ্যই, ট্রাফিক জ্যাম।
প্রিয়.কম: এ শহরের তো একেক সময় একেক রূপ দেখা গেছে ৭০, ৮০, ৯০ কিংবা একবিংশ দশকে। তবে কোন দশকটা আপনার সবচেয়ে বেশি পছন্দ?
মিথিলা: আমি যে সময়টা বড় হয়েছি মানে ৯০ এর দশকে। যখন এতো ট্রাফিক জ্যাম ছিল না। হেঁটে হেঁটে স্কুল কিংবা কলেজে যেতাম। সে সময়গুলো আসলেই অনেক ভালো ছিল।
প্রিয়.কম: আপনার মতে, ঢাকার ইউনিক বিষয় কি?
মিথিলা: ঢাকার মানুষগুলো অনেকে বেশি কর্মশীল আর ইতিবাচক ধ্যান ধারণা পোষণ করে পথ চলেন। যা আসলেই পৃথিবীর অন্য শহরে খুব এমনটা দেখা যায় না।
প্রিয়.কম: ঢাকা নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা?
মিথিলা: আমরা যারা এ দেশের নাগরিক, সবারই মনে হয় প্রাণের শহরটাকে নিয়ে কম-বেশি পরিকল্পনা আছে। তবে আমি বলব কীভাবে ঢাকার ট্রাফিক জ্যামটা কমানো যায়, সে বিষয়ে আমি প্রথমে পরিকল্পনা করতাম।
প্রিয়.কম: আপনার মন খারাপ হলে কিংবা সুযোগ পেলে আপনি এ শহরের কোথায় গিয়ে বসবেন?
মিথিলা: ভেবে দেখতে হবে (একটু ভেবে বললেন) কোন ক্যাফেতে। কারণ সেখানে নিজের মতো করে একা আড্ডা দেওয়া যায়। একা ওয়াইফাই জোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে নিজের মতো করে সময় কাটানো যায়। আমি মনে করি এটা নগরায়নের একটা অংশ। যা জীবনযাত্রার গতিপথ অনেকটাই বদলে দিয়েছে।
প্রিয়.কম: প্রিয়.কমকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মিথিলা: প্রিয়কেও ধন্যবাদ।
সম্পাদনা: গোরা
মিথিলাকে বলা হলো- পাঁচটি বিষয় বেছে নেওয়ার জন্যে, যা তার জীবনকে সব সময়ই নতুন করে রাঙিয়ে তোলে। তিনি বললেন, ঝুম বৃষ্টি দেখা, রিকশায় করে ঘুরে বেড়ানো্, রাস্তার পাশে টং দোকানে চা খাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া আর মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানো। কিন্তু মিথিলা কেন বেছে নিলেন এমন বিষয়গুলো? মিথিলা জানালেন, তিনি নিজের মতো করে ঢাকাকে আবিষ্কার করে নিয়েছেন! যেখানে ভাপা পিঠা, রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়াটাই যথেষ্ট। যেগুলোকে ছেড়ে যাওয়া তার জন্য অসম্ভব!
মিথিলা নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব এডুকেশন হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
মিথিলা: যখন আমি অফিস শেষে রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় যাই, তখন তো অনেকগুলো মানুষের ভিড়ে আমি একা। আমার পরিচিত আশেপাশে কেউ নেই। সবাই যে যার গন্তব্যে ছুটে চলছে। ওই বিষয়টা খুবই মজার। ভাবি, এ শহরটা আমার কত আপন! অথচ এখন কাউকেই চিনছি না। তখন নিজেকেই একটু ভিন্নভাবে আবিষ্কার করি।
প্রিয়.কম: আর আপনাকে যদি বলা হয় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, তাহলে আপনি এ শহরের কোন জায়গাটাকে সবচেয়ে বেশি মিস করবেন?
মিথিলা: অবশ্যই আমার বাসা।
প্রিয়.কম: আচ্ছা, ঢাকার কোন জায়গাটা আপনার সবচেয়ে প্রিয়?
মিথিলা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখানে আমার জীবনের দুর্দান্ত একটা সময় কেটেছে।
প্রিয়.কম: কখনও যদি এমনটা হয়, শহরের বাইরে থেকে আপনার পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ ঢাকায় প্রথম এলো। তাকে কীভাবে আপ্যায়ন করবেন আপনি?
মিথিলা: নিশ্চয়ই তাকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গাগুলো ঘুরিয়ে দেখাবো। প্রাচীন বিভিন্ন স্থাপনাগুলোর ইতিহাস আর ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাব।
প্রিয়.কম: শীতের ঢাকায় আপনার কাছে প্রধান আকর্ষণ কি?
মিথিলা: ভাপা পিঠা।
প্রিয়.কম: শহরের কোন বিষয়টা বদলে দিতে চাইবেন?
মিথিলা: অবশ্যই, ট্রাফিক জ্যাম।
প্রিয়.কম: এ শহরের তো একেক সময় একেক রূপ দেখা গেছে ৭০, ৮০, ৯০ কিংবা একবিংশ দশকে। তবে কোন দশকটা আপনার সবচেয়ে বেশি পছন্দ?
মিথিলা: আমি যে সময়টা বড় হয়েছি মানে ৯০ এর দশকে। যখন এতো ট্রাফিক জ্যাম ছিল না। হেঁটে হেঁটে স্কুল কিংবা কলেজে যেতাম। সে সময়গুলো আসলেই অনেক ভালো ছিল।
প্রিয়.কম: আপনার মতে, ঢাকার ইউনিক বিষয় কি?
মিথিলা: ঢাকার মানুষগুলো অনেকে বেশি কর্মশীল আর ইতিবাচক ধ্যান ধারণা পোষণ করে পথ চলেন। যা আসলেই পৃথিবীর অন্য শহরে খুব এমনটা দেখা যায় না।
প্রিয়.কম: ঢাকা নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা?
মিথিলা: আমরা যারা এ দেশের নাগরিক, সবারই মনে হয় প্রাণের শহরটাকে নিয়ে কম-বেশি পরিকল্পনা আছে। তবে আমি বলব কীভাবে ঢাকার ট্রাফিক জ্যামটা কমানো যায়, সে বিষয়ে আমি প্রথমে পরিকল্পনা করতাম।
প্রিয়.কম: আপনার মন খারাপ হলে কিংবা সুযোগ পেলে আপনি এ শহরের কোথায় গিয়ে বসবেন?
মিথিলা: ভেবে দেখতে হবে (একটু ভেবে বললেন) কোন ক্যাফেতে। কারণ সেখানে নিজের মতো করে একা আড্ডা দেওয়া যায়। একা ওয়াইফাই জোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে নিজের মতো করে সময় কাটানো যায়। আমি মনে করি এটা নগরায়নের একটা অংশ। যা জীবনযাত্রার গতিপথ অনেকটাই বদলে দিয়েছে।
প্রিয়.কম: প্রিয়.কমকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মিথিলা: প্রিয়কেও ধন্যবাদ।
সম্পাদনা: গোরা
‘তুমি যে আমার’ সিনেমায় গাইলেন তাহসান ও কোনাল
আরটিভি প্রযোযনায় ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ এর পরিচালনায় ‘তুমি যে
আমার’ সিনেমার জন্য গাইলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান ও কোনাল।
একসঙ্গে তাহসান ও কোনাল ছবি: শামছুল হক রিপন ও সংগৃহীত
‘তুমিময়’ শিরোনামের এ গানটি লিখেছেন মাহমুদ মানজুর। গানটির সুর ও সঙ্গীত করেছেন আমেরিকা প্রবাসী নাভেদ পারভেজ। চট্রগ্রামের ছেলে নাভেদ পারভেজ প্রবাসে থেকেই মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় ‘রয়’ চলচ্চিত্রে কো-প্রোগ্রামার হিসেবে কাজও করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
তাহসান ও কোনালে গাওয়া গান সম্পর্কে রাজ বলেন, ‘আমার চলচ্চিত্রগুলোতে গানের একটা প্রাধান্য থাকে। বিগত চলচ্চিত্রের গানগুলোও শ্রোতাদের কাছে দারুন সমাদৃত হয়েছে। তাহসান ভাই অনেক সময় দিয়ে গানটি করেছেন। কোনালও গেয়েছেন দূদার্ন্ত। গানটির ফাইনাল মিক্স হবে মুম্বাই এর বিখ্যাত তিতুমীর স্টুডিতে। আর এ গানে আমেরিকার কিছু যন্ত্রশিল্পী বাজিয়েছেন। আশা করি ‘তুমি যে আমার’ চলচ্চিত্রত্রের গানগুলোও শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’
সম্পাদনা: মিজানুর রহমান
একসঙ্গে তাহসান ও কোনাল ছবি: শামছুল হক রিপন ও সংগৃহীত
‘তুমিময়’ শিরোনামের এ গানটি লিখেছেন মাহমুদ মানজুর। গানটির সুর ও সঙ্গীত করেছেন আমেরিকা প্রবাসী নাভেদ পারভেজ। চট্রগ্রামের ছেলে নাভেদ পারভেজ প্রবাসে থেকেই মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় ‘রয়’ চলচ্চিত্রে কো-প্রোগ্রামার হিসেবে কাজও করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
তাহসান ও কোনালে গাওয়া গান সম্পর্কে রাজ বলেন, ‘আমার চলচ্চিত্রগুলোতে গানের একটা প্রাধান্য থাকে। বিগত চলচ্চিত্রের গানগুলোও শ্রোতাদের কাছে দারুন সমাদৃত হয়েছে। তাহসান ভাই অনেক সময় দিয়ে গানটি করেছেন। কোনালও গেয়েছেন দূদার্ন্ত। গানটির ফাইনাল মিক্স হবে মুম্বাই এর বিখ্যাত তিতুমীর স্টুডিতে। আর এ গানে আমেরিকার কিছু যন্ত্রশিল্পী বাজিয়েছেন। আশা করি ‘তুমি যে আমার’ চলচ্চিত্রত্রের গানগুলোও শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’
সম্পাদনা: মিজানুর রহমান
Saturday, April 8, 2017
৫৯তম গ্র্যামি সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে তাহসান
(প্রিয়.কম) তাহসান খান-গায়ক, অভিনেতা, সুরকার ও সঙ্গীত
পরিচালক। তিনি মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে
আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এই আয়োজনে যোগ দিতে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান
করছেন।
এদিকে '৫৯তম গ্র্যামি সেলিব্রেশন অনুষ্ঠান ২০১৭'-এর এবারের আসর বসছে লসএঞ্জেলসের কনভেনশন সেন্টারে। যুক্তরাষ্ট্র সময় ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৩০মিনিটে শুরু হবে অনুষ্ঠান।
তাহসান জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অডিও কোম্পানি কাইনাটিক মিউজিকের মাধ্যমে তার কাছে আমন্ত্রণপত্রটি এসেছে।
যদিও বিশ্বখ্যাত এই আয়োজনে বাংলাদেশের হয়ে এর আগে যোগ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী জোহান। এই দিক দিয়ে তাহসান দ্বিতীয়বারের মতো অনন্য এক সম্মান বয়ে আনলেন দেশের জন্য।
এছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকায় তাহসান অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি 'বরষা'র প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এ কারণে তাহসান এতে উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
উল্লেখ্য, গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব রেকর্ডিং আর্টস এন্ড সাইন্সেস কর্তৃক প্রবর্তিত বার্ষিক পুরস্কার, যা সঙ্গীত শিল্পে অসাধারণ কৃতিত্ত্বের প্রদান করা হয়। এটি ১৯৫৮ সালে প্রবর্তিত হয়। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নিউ ইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত হত। এটি আমেরিকার সবচেয়ে সম্মানজনক সঙ্গীত পুরস্কার।
এদিকে '৫৯তম গ্র্যামি সেলিব্রেশন অনুষ্ঠান ২০১৭'-এর এবারের আসর বসছে লসএঞ্জেলসের কনভেনশন সেন্টারে। যুক্তরাষ্ট্র সময় ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৩০মিনিটে শুরু হবে অনুষ্ঠান।
তাহসান জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অডিও কোম্পানি কাইনাটিক মিউজিকের মাধ্যমে তার কাছে আমন্ত্রণপত্রটি এসেছে।
যদিও বিশ্বখ্যাত এই আয়োজনে বাংলাদেশের হয়ে এর আগে যোগ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী জোহান। এই দিক দিয়ে তাহসান দ্বিতীয়বারের মতো অনন্য এক সম্মান বয়ে আনলেন দেশের জন্য।
এছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকায় তাহসান অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি 'বরষা'র প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এ কারণে তাহসান এতে উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
উল্লেখ্য, গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব রেকর্ডিং আর্টস এন্ড সাইন্সেস কর্তৃক প্রবর্তিত বার্ষিক পুরস্কার, যা সঙ্গীত শিল্পে অসাধারণ কৃতিত্ত্বের প্রদান করা হয়। এটি ১৯৫৮ সালে প্রবর্তিত হয়। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নিউ ইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত হত। এটি আমেরিকার সবচেয়ে সম্মানজনক সঙ্গীত পুরস্কার।
সম্পাদনা: শামীমা সীমা
- বিভাগ:
- বিনোদন
- গান
- তারকার জীবন
Subscribe to:
Posts (Atom)